সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্কঃ
গাছের আম পাড়া নিয়ে হয় সামান্য ঝগড়া-বিবাদ। এক পর্যায়ে যা ধারণ করে ভয়াবহ রূপ। এই ঝামেলার রেশেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আপন ভাবিকে হত্যা করে যুবক। রীতিমতো শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে মাথা। আর সেই কাটা মাথা নিয়েই পুরো গ্রাম ঘুরে হাজির হয় থানায়, করে আত্মসমর্পনও। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার।
সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে এই ঘাতকের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যায়, এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা, ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে ঘাতকের নেই কোনো আতঙ্ক। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই যুবকের নাম বিমল মন্ডল। তার হাতে খুন হওয়া বৌদির নাম সতী মণ্ডল। সতীর বাড়ির পাশেই ঘাতক বিমলের বাড়ি। দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ ছিল বলে স্থানীয়দের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সতীর স্বামী মাস চারেক আগে মারা যান বলেও জানায় ভারতীয় মিডিয়া। নিহত এই নারীর একমাত্র ছেলে সন্তান পড়াশোনার জন্য ছেলে থাকেন সোনারপুর এলাকায়।
স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দেবর-বউদি দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মুণ্ডু এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিমল রাস্তা দিয়ে এক হাতে অস্ত্র আর আরেক হাতে কাটা মুন্ডু নিয়ে এমন ভাবে হাটছেন যেনো কিছ্ইু হয়নি। রাস্তার পাশের মানুষজন তাকে এভাবে দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠে।
এক পর্যায়ে থানায় এসে আত্মসমর্পন করলে বিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ইতিমধ্যে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বিমল মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎ মাথা গরম হয়ে যাওয়াতেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ বলছে, বিমল দাবি করেন আম গাছটি তার মালিকানাধীন। সতীও পাল্টা দাবী করে বসেন গাছটি তার। তাই আম পাড়ার জন্য তার কারো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। দুজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটি চলতে থাকে। এরপর হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে বউদিকে কুপিয়ে ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেন অভিযুক্ত বিমল মন্ডল। তার পর বউদির কাটা মুণ্ডু নিয়েই ঘুরে বেড়ান পুরো এলাকা।