মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে সুমাইয়া আক্তার (৩১) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ শালুকগাড়ি গ্রামে। সুমাইয়া উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের জাকারিয়া ইসলামের মেয়ে এবং মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর টিকাদারপাড়া এলাকার মৃত নজমল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাপ্পির স্ত্রী।
বাড়ির মালিক রহিমাবাদ শালুকগাড়ি গ্রামের ওয়াহেদ আলী জানান, প্রায় চার মাস যাবত তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল গৃহবধূ সুমাইয়া। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় রাজু নামের এক ব্যক্তি স্বামী এবং রাকিব নামের এক যুবক ভাতিজা পরিচয় দেয়। এরপর থেকে রাজু ও রাকিব সুমাইয়ার ভাড়া বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। গত সোমবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সুমাইয়া ও রাজুকে এক সাথে কথা বলতে দেখেছেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার সারাদিন ও রাত পর্যন্ত সুমাইয়ার কোন সাড়া না পাওয়ায় এবং ভিতর থেকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় বাড়িওয়ালার সন্দেহ হয়। তিনি আজ বুধবার (২৫ জুন) সকাল সোয়া ৬টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে বিষয়টি জানান। ইউপি সদস্য থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের জানালা খুলে দেখতে পান ঘরের তীরের সাথে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ। সংবাদ পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সুমাইয়ার ছোট ভাই কাওসার আহমেদ জানান, রাজু ও তার সহযোগিরা সুমাইয়াকে দিয়ে মাদক বিক্রি করে নিচ্ছে, গত তিন মাস আগে এমন কথা জানার পর সুমাইয়াকে মাদক ব্যবসা থেকে বিরত থাকতে বলেল তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজু ও তার সহযোগীরা তাকে মারপিট করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সুমাইয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।