আমি এস,এম,আনোয়ার জাহিদ, সহকারী শিক্ষক, বড় পাথার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শাজাহানপুর, বগুড়া। অদ্য ২৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখে “শাজাহানপুর সংবাদ ” নামক অন লাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেই সম্পর্কে কিছু বক্তব্য তুলে ধরছি।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে আমি মাঝিড়াতে বাসা ভাড়া নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের টাইম স্কেল পেনশন, ইবি ক্রস, মাতৃত্ব ছুটি সার্ভিস বুক লেখা, ইত্যাদি কাজ অফিসের কেরানীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমি শিক্ষকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকি। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তি হীন, আমি আমার বাসাতে অফিসের কোন কাজ কর্ম করিনা। এবং শিক্ষকদের নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা গ্রহন করিনাই। এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কারীর শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি আরো লিখেছেন ওয়াশ ব্লকের ঠিকাদারকে হুমকি ও তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছি। যা একেবারেই অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারো পক্ষের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন কথার সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য হলো ওয়াশ ব্লকের কাজের ঠিকাদারের সাথে আমার কোন দিন সাক্ষাৎ হয় নাই, কথা হয় নাই এবং তাকে আমি চিনি না,এবং দেখি নাই কোন দিন। ৫ ই আগষ্টের পর ওয়াশ ব্লকের কাজের ধীর গতি ও কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় জনস্বাস্থ্য অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সিডিউল মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য অসংখ্য বার ঠিকাদারের সাথে ফোনে কথা বলতে দেখেছি। আর জনস্বাস্থ্যের কর্মকর্তা একাধিকবার বিদ্যালয়ে বলে গেছেন সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন না হলে প্রত্যয়ন না দিতে। সর্বশেষ ২৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব বেঞ্জুয়ারা বেগম ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শুভেন্দ সরকার বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে ওয়াশ ব্লকের নিয়মিত ব্যবহার যোগ্য সামগ্রী নিম্ন মানের হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে, প্রধান শিক্ষককে আগেই প্রত্যয়ন দিতে নিষেধ করেন এবং প্রয়োজনে ঠিকাদারকে উক্ত শিক্ষা অফিসার বেঞ্জুয়ারা বেগমের নিকট পাঠাতে প্রধান শিক্ষককে বলেন। এখানে ঠিকাদারকে প্রত্যয়ন দেওয়া না দেওয়া প্রধান শিক্ষক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসার বুঝবে। এখানে আমার চাঁদা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সংবাদে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে আগে আমার লোকজন নিয়ে লাঞ্চিত, অপমান করেছি এবং ভবিষ্যতের জন্যও ভয় কাজ করছে যা অনেক অভিভাবক জানান। এখানে উল্লেখ্য যে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি অপকর্মের জন্য গত ০৫/০৯/২০২৪ ইং তারিখে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মাহবুব আলম স্যারের সভাপতিত্বে অত্র বিদ্যালয়ে মিটিং শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরেক সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব শামীম ইকবাল ইমন স্যার, অত্র চোপিনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান (বাবলু), সাবেক চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান,আব্দুস সাত্তার এম এ, আজিজার রহমান মন্ডল হিসাব রক্ষন অফিস, আ:লীগ সেক্রেটারি আজিজার রহমান প্রাং,ইউপি সদস্য লাভলী বেগম ও আনিছুর রহমান, আব্দুল করিম প্রাং, হারুন রশিদ, রফিকুল ইসলাম, পলাশ,মোজাহার আলী প্রাং,আব্দুল বাছেদ মন্ডল, আজিজুল ইসলাম, নুর আলম, ডা: মাহবুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোতাহার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক চোপিনগর সপ্রবি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সহ এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ। সভায় আলোচনা শেষে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি অনিয়ম গুলো উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বাবলু প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি অনিয়ম উল্লেখ করে একটি তালিকা তৈরী করে দিতে বললে ০৮/০৯/২০২৪ ইং তারিখে একটি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন সহ তালিকা তৈরী করে চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যানের কথা প্রধান শিক্ষক কর্নপাত না করলে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মাহবুব আলম গত ০৪/০২/২০২৫ ইং তারিখে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার দুর্নীতি অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন দেন। পরবর্তীতে ০২/০৬/২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ ললক্ষাধিক টাকার অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বুঝা যায় প্রধান শিক্ষক তার দুর্নীতি অনিয়ম গুলো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কোন এক মুখোশ ধারী সাংবাদিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ করা হয়েছে। সর্বোপরি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করার জন্য তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন,ও প্রেস ক্লাবের সভাপতির নিকট আবেদন এই যে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কারী এবং এর নেপথ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি।