মিজানুর রহমান মিলন,
স্টাফ রিপোর্টার :
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাঁদিয়াখালি ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে, একই এলাকার এক বখাটে মনিরুল।
এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত ২৯/ ১ /২০২৫ ইং তারিখে অনুমান সময় ৩.০০ ঘটিকার সময় পুরাতন বালিয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয় হইতে স্কুল ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে, মোছাঃ আছমা বেগম সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসমা বেগমের ভাতিজা মনিরুল কে ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিল, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রীকে ঘরের ভিতরে রেখে আসমা বেগম স্থান ত্যাগ করেন। সেই সুযোগে বখাটে মনিরুল ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক আসমা বেগমের শয়ন কক্ষে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় উক্ত ছাত্রী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁকে উদ্ধার করে তার পিতার বাড়িতে নিয়ে যান, বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হইলে গ্রামের মাতব্বর গণ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুই পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয় মৌলভি দ্বারা মনিরুল ও ঐ ছাত্রীর বিবাহ পরিয়ে দেন। কিন্তু বিবাহের রেজিস্ট্রির বিষয়টি স্থবির হয়ে পড়ে, সেই সুযোগে বখাটে মনিরুল অন্যত্র আরেকটি বিবাহ করেন, মনিরুলের দ্বিতীয় বিয়ের ফলে উক্ত ছাত্রীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।
মেয়ের জীবনের কথা চিন্তা করে পিতা আইয়ুব আলী ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে, সদর থানা গাইবান্ধায় একটি এজাহার দাখিল করেন, এজাহারের সত্যতা পাইলে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার এজাহার টি আমলে গ্রহণ করিয়া একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন, ধারা ৯(১)৩০ তাং২২-৬-২৫ ইং গাইবান্ধা সদর থানার মামলা নং ৩৬ জি/আর নং২২০/২৫ উক্ত মামলায় দুজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত আসামী ১/মোঃ মনিরুল ইসলাম পিতা মোঃ আব্দুল মজিদ ২/মোছাঃ আছমা বেগম স্বামী মোঃ রশিদ মিয়া উভয়ের গ্রামঃ রামনাথের ভিটা ( বালুচর) উপজেলা জেলাঃ গাইবান্ধা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিজুস কুমার বিশ্বাস মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় জনগণ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আসামিরা লোক সমাজে ঘুরে বেড়ালেও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অভিহিত করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রীর ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। ন্যায় বিচার পাবে না মর্মে উক্ত ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, গত ৮/৭/২৫ ইং তারিখে সকাল ১১টার সময় তাঁর পিতার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় দড়ি দেয়, আশপাশের লোকজন মেয়েটির গোংগানির শব্দ শুনিয়া ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। মেয়ে টি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের গাফিলতির কারণে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনগণ ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।