কাহালু ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা ২০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত এবং চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত হয়ে পালাতক। এ অবস্থায় ছুটি ভোগের অযুহাতে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ঘটনাটি উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নে কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকারনাম মোছাঃ সেলিনা আক্তার।
মামলার বিবরণে জানা যায় যে মোছাঃ সেলিনা আক্তার তার স্বামীর ব্যবসার জন্য বাদীর নিকট থেকে ২০ লাখ টাকা গ্রহন করেন।সেই টাকা পরিশোধের জন্য বিগত ১০-১১- ২০২২ ইং তারিখে মামলার বাদীকে ইউসিবি ব্যাংকের ২০ লাখ টাকার চেক দেয়। যাতে সেলিনা আক্তারের স্বাক্ষর আছে । ২০ লাখ টাকা কালেকশনের জন্য চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় জমা দিলে হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ২০-১১-২০২২ ইং তারিখে চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়।বিগত ২৮-১১-২০২২ইং তারিখে সেলিনা আক্তারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। ১১-১২-২০২২ ইং তারিখে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে সেলিনা আক্তারকে পূনরায় লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়।সেলিনা আক্তার লিগ্যাল নোটিশটি আমলে না নিলে বাদী উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের ইন্দুখুর গ্রামের মৃতঃ মকবুল হোসেন এর পুত্র মোঃ ইমদাদ হোসেন বিগত ০৪-০১-২০২৩ ইং তারিখে ঐ শিক্ষিকার নামে বগুড়া যুগ্ম জেলা জজ ১ নং আদালতে ২০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলাটি দায়ের করেন।
ঐ মামলায় গত ১২-০৫-২০২৫ ইং তারিখে ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালত ৬ মাস বিনাশ্রমে কারাদন্ডাদেশ ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদন্ডের আর্দেশ প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ও রায়ের পর হতে ঐ শিক্ষিকা পলাতক আছে।
এ ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে স্বপদে অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারের সাথে মুঠাফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার ছুটিতে রয়েছেন। এ দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, তিনি নিয়মিত ছুটিতে আছেন।তিনি বলেন মামলার রায়ের কপি আমরা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব । এদিকে মামলার বাদী ঐ শিক্ষিকার ছুটি বাতিলে বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।