মিজানুর রহমান মিলন, স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার শাজাহানপুরে এক গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় পরিবার।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামের বামনদিঘী পাড়ার মৃত মহির উদ্দিনের মেয়ে মোছা: মমতা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ছোট বোন মরিয়ম বেগম (যিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন) চলতি বছরের ৬ এপ্রিল মিথ্যা চুরির অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। অথচ একই বছরের ২৪ মার্চ হাসান আলী মিয়া ও তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন (শিক্ষিকা) স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালালেও কিছু পাননি। পরে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মরিয়ম বেগমকে বেদম মারধর করা হয় এবং পুলিশের সহায়তায় সাজানো মামলায় জড়ানো হয়।
মমতা বেগম অভিযোগ করেন, নির্যাতনের একপর্যায়ে হাসান আলী মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে রান্নাঘর থেকে নিজেই গহনা বের করে এনে জানায় এগুলো মরিয়ম বেগম লুকিয়ে রাখেননি। এরপরও মরিয়মকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রথমে মরিয়মকে উদ্ধার করে মুচলেকা নিয়ে জিম্মায় দিলেও তিনদিন পর নতুন করে মামলা রেকর্ড হয়। মামলার (নং-৪৪) অধীনে ৩৮০/৩২৩/৫০৬(২) ধারায় চুরির অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ভয়ভীতি ও নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করে।
তিনি দাবি করেন, তার বোন ও ভগ্নিপতির তিন বছরের কন্যাশিশু এখন মারাত্মক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। গৃহকর্মীর কাজেও চরম বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মমতা বেগম সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার পাওয়ার জোর দাবি জানান। বিশেষ করে নির্যাতিত মরিয়ম বেগম ও তার শিশুকন্যার ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।