এস আই হাবিব, পলাশবাড়ী:
জনরোষ ও গণমাধ্যমের চাপের মুখে, অভিযুক্ত ক্লিনিক মালিকের সংবাদ সম্মেলন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে তাওহীদ রহমান এর মালিকানাধীন নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার ও নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডেন্টাল এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারকে ১৫ হাজার টাকা এবং রেজাউল করিম মালিকানাধীন রেখা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে লাইসেন্স নবায়ন না করা, যোগ্য চিকিৎসক ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ঘাটতিসহ নানা অনিয়মের কারণে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে রোগীদের নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে। যারা আইন অমান্য করে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ে সাধারণ মানুষের নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া করা সহ সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হওয়ায়,
২৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেন অভিযুক্ত নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ রহমান।
গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ তাদের এই প্রচেষ্টাকে “অপরাধ ঢাকার চেষ্টা” বলে আখ্যা দিয়ে আরও বলেন এই ধরনের গুরুতর অভিযুক্ত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে কঠোর থেকে কঠোর তম শাস্তির আওতায় আনা হোক।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত নিউ লাইফ ক্লিনিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার ও নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আগেও ২ জুন ২০২২ সালে অনিবন্ধিত সহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে সিল গালা করা হয়।
এছাড়াও অভিযোগ আছে নিউ লাইফ ক্লিনিকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে ভুল চিকিৎসায় মা’সহ নবজাতক যমজ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সে সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ধামাচাপা দিয়েছিলো। নিহত প্রসূতি মায়ের বাড়ী পৌরসভার বাড়াইপাড়া গ্রামে। তার স্বামীর বাড়ী কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বড় শিমুলতলা গ্রামে।