মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট মোবারক মার্কেটে ঝাল মুড়ি, বারভাজি মাখামাখি বিক্রি করতে ব্যাস্ত বাবলু সাকিদার । তার এই ঝাল মুড়ি, বারভাজি মাখামাখি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের মাঝে । আগে শুধু এক পদের ঝাল মুড়ি বিক্রি করলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পদের সংখ্যা । স্বাদে এনেছেন ভিন্নতা । যা মন কেড়েছে ছোট বড় সবার । তাই প্রতিদিন বিভিন্ন পদের ঝাল মুড়ি, বারভাজি মাখামাখির স্বাদ নিতে ছুটে আসছেন ক্রেতারা । জানা যায়, ফুলকোট মোবারক মার্কেটের বিদ্যুৎ এর চায়ের স্টলের উত্তর পাশে বাবলু সাকিদারের বারভাজির দোকান । বিশেষ কায়দায় তৈরি দোকানটিতে বাইরের ধুলাবালি ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের তৈরি র্যাক ।তাতে লাগানো হয়েছে সচ্ছ কাঁচ । তার দোকানের ঝাল মুড়ি, বারভাজি মাখামাখি খাওয়ার পাশাপাশি চলে অনেকের আড্ডা । শেষে তৃপ্তি নিয়ে ফেরেন ভোজনরসিকরা । প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত ঝালমুড়ি, বারভাজি মাখামাখি বিক্রি করেন ৬০ বছর বয়সী বাবলু সাকিদার । সাথে সহযোগীতা করেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত তার ছেলে মোঃ রাজু মিয়া । তার বিক্রি করা ঝাল মুড়ির পদ গুলোর মধ্যে আছে আলু ঝাল মুড়ি, ছোলা ঝাল মুড়ি,ও ডিম ঝাল মুড়ি। ১০ টাকা শুরু করে ৩০ /৫০ টাকা ঝালমুড়ি, বারভাজি মাখামাখি পার্সেল করে বিক্রি করেন তিনি । বারভাজি মাখামাখি খেতে আসা রামপুর গ্রামের জনপ্রিয় রেফারি শিক্ষক সোহেল রানা হেলাল জানান,বাবলু সাকিদারের বারভাজি মাখামাখির আলাদা স্বাদ রয়েছে । এটি মুখরোচক খাবার,স্বাদের ভিন্নতার জন্য সুযোগ পেলেই বারভাজি মাখামাখি খেতে আসেন তিনি । মোবারক মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী বলেন,প্রতিদিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাবলু সাকিদারের ঝালমুড়ি, বারভাজি মাখামাখি খাই, বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাই । এটা খুব মজাদার । বাবলু সাকিদারের ঝালমুড়ি, বারভাজি মাখামাখি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠার কারণে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভীড় জমায় ফুলকোট মোবারক মার্কেটে বাবলু সাকিদারের বারভাজি মাখামাখির দোকানে ।