নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া–৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতি ও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে নিয়োজিত আছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ভাটরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠনের প্রতি তাঁর ত্যাগ, পরিশ্রম ও দলীয় আনুগত্যের কারণে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্র ও সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান রয়েছে। বর্তমানে তিনি ইসলামী আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়ার অধ্যক্ষ ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা খাতের উন্নয়ন ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তিনি নিয়মিত কাজ করছেন।
এছাড়াও তিনি আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতাল, বগুড়ার পরিচালক হিসেবে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা (অধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন)-এর যুগ্ম সম্পাদক এবং নর্থ বেঙ্গল ডেইরী অ্যান্ড বীফ ফ্যাটেনিং (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
রাজনীতির কঠিন সময়েও তিনি ছিলেন সাহসী ও অবিচল। ১/১১ সময় দেশে যখন আওয়ামী লীগের বাকশাল সরকারের ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চলছিল, তখন ছাত্র রাজনীতিতে মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান ছিলেন একজন নির্ভীক সৈনিক। সেই সময় তিনি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা-মিটিং আয়োজন করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় পেটুয়া পুলিশ বাহিনী তাঁর ওপর নির্মম হামলা চালায়—পা ভাঙচুর করা হয় এবং মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে তিনি আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং তারেক রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান একজন তরুণ, শিক্ষিত, সৎ ও নির্ভীক নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা এবং সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও মানবসেবার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি তৃণমূল জনগণের কাছে যাচ্ছেন, শুনছেন তাদের সমস্যা ও পরামর্শ।
মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুশাসিত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের পাশে থাকা, তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং এলাকার প্রতিটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার নয়, এটি জনগণের সেবা করার একটি মহান সুযোগ।”
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, তৃণমূল থেকে উঠে আসা শিক্ষিত ও দক্ষ এই তরুণ নেতা কাহালু–নন্দীগ্রাম আসনের মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারা মনে করেন, দলের নীতিতে অটল ও নির্লোভ চরিত্রের এই নেতা হলে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব।
কাহালু ও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, মোয়াজ্জেম হোসেন মিজানের পক্ষে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। কৃষক, শ্রমজীবী, তরুণ ও নারী ভোটারদের মধ্যে তাঁর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এলাকার যুব সমাজ মনে করে, তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএনপির পুরনো ঐতিহ্য ও শক্তি নতুন করে জাগ্রত হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিজানের মতো শিক্ষিত ও উদ্যমী প্রার্থীরা যদি তৃণমূল রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেন, তবে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে। বগুড়া–৪ আসনের মানুষও তাঁর মতো নেতৃত্বকে আশাবাদী চোখে দেখছেন।
মিজানের প্রতি স্থানীয় জনসাধারণের আহ্বান—
“তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে অংশ নিন, ধানের শীষে ভোট দিন।”
তরুণ প্রজন্মের একাংশ মনে করে, মোয়াজ্জেম হোসেন মিজানের মতো সৎ, পরিশ্রমী ও শিক্ষিত প্রার্থীরাই দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন। আর তাঁর মতো নেতারাই ভবিষ্যতে দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন কাহালু–নন্দীগ্রামবাসী।