এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া
এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছেন আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ ফজলে রাব্বি তোহা। ছাত্রদলের খুদে কর্মী হিসেবে সেই সময় থেকে তিনি অদ্যাবধি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাজনীতির ময়দানে অবিচলভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। বিএনপির অংশগ্রহণ করা প্রতিটি জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে জনগণের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই তিনি শুধু দলের নেতা নন, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে একজন প্রিয় ও ভালোবাসার নাম হিসেবে পরিচিত।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি শিক্ষাক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার বাবা প্রতিষ্ঠিত নুন্দহ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় তিনি উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা এবং দলীয় কর্মকাণ্ডের কারণে ২০১১ সালে জালেমদের নিপীড়নের মুখে সেই পদ থেকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। তবুও তিনি কখনো দমে যাননি এবং রাজনীতিতে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছেন।
বিশেষ করে ১/১১-এর সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তৃণমূলের সঙ্গে টেলিকমিউনিকেশন সংযোগ করার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জীবন বাজি রেখে এই দায়িত্ব সম্পন্ন করেছিলেন এবং দলের স্বার্থে সর্বদা নির্ভীকভাবে কাজ করেছিলেন। ঘরোয়া রাজনীতি চালু হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রথম স্বরকলিপি প্রদান করেছিলেন মাত্র ১২ জন শহীদ জিয়ার সৈনিকের নিয়ে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর মধ্যে সেই দিন এই স্বরকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে ফজলে রাব্বি তোহা প্রকৃত শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বগুড়া জেলা শাখা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, বগুড়া জেলা শাখা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, বগুড়া জেলা শাখা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, বগুড়া, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা এবং বর্তমানে সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, বগুড়া।
২০০৭ সালের ১/১১ থেকে শুরু করে বিগত ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামে তিনি রাজপথের সাহসী সৈনিক হিসেবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এই দীর্ঘ সংগ্রামে তিনি অমানবিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। বিশটিরও বেশি মামলা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। পাঁচ থেকে ছয়বার কারাবরণ করেছেন। প্রায় উনিশ মাস কারাগারে কাটিয়েছেন এবং বহুবার রিমান্ডে থেকেছেন। বাড়ির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। জীবনের হুমকি ও ক্রসফায়ারের শিকারও হয়েছেন। তবুও তিনি কখনো দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে পিছিয়ে যাননি।
১/১১-এর সময় এবং পরবর্তী সময়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে তার নেতৃত্বে দলের পতাকা কখনো ফ্যালো হয়নি। রাজনৈতিক কর্মীদের সংগঠিত করেছেন, নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির ভিত্তি শক্ত করেছেন। একমাত্র তিনিই এমন নেতা যিনি পুলিশি হয়রানি ও দীর্ঘমেয়াদি কারাবরণের শিকার হয়েছেন, অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী সেই মাত্রার শিকার হননি। তিনি আওয়ামী লীগ এবং প্রশাসনের কাছে সবসময়ই ভয়ের প্রতীক ছিলেন।
ফজলে রাব্বি তোহা শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সমাজসেবকও। এলাকার মসজিদ-মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে দীর্ঘদিন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। মানুষের দুঃখে-সুখে পাশে থেকেও প্রমাণ করেছেন — রাজনীতি মানেই জনগণের সেবা।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন — ধানের শীষই পারে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এবং দূর্নীতিমুক্ত সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে। তিনি তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে তিনি জনগণের কাছাকাছি থেকেছেন। জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছেন। যে কারণে দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালোবাসে। জনমনে তিনি একজন মজলুম নেতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি কখনো দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তৃণমূলের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া, দলীয় নীতি ও নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি দলের নাম অটল রেখেছেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি সাহসিকতা, ত্যাগ, নেতৃত্ব ও নৈতিকতার প্রতীক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। বরং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সবসময় তাঁদের অধিকার রক্ষা করেছেন। দলের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে। তিনি রাজপথে দমন-নিপীড়নের মুখেও দলের পতাকা উঁচু রেখেছেন।
ফজলে রাব্বি তোহা একাধারে রাজনীতিক, সমাজসেবক এবং জননেতা। তার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ আত্মবিশ্বাসী, নতুন প্রজন্মকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এবং দলের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তিনি নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাবরণ এবং রিমান্ডের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ, সাহস এবং নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে আলহাজ্ব মাওলানা ফজলে রাব্বি তোহা বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের মানুষের হৃদয়ে অটল অবস্থান অর্জন করেছেন। তিনি জনগণের জন্য লড়ছেন নির্ভীকভাবে, ধানের শীষের বিজয়ের প্রত্যাশা নিয়ে এবং একটি দূর্নীতিমুক্ত, ন্যায়বিচারপূর্ন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে।