এস আই সুমন, স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নিখোঁজ হওয়া দুই স্কুলছাত্রীকে অবশেষে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর, পরিবার দুটির অনুরোধে বগুড়া-২ আসনের ধানের শীষের এমপি প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে ডিবি পুলিশের তৎপরতা শুরু হলে মিলেছে তাদের খোঁজ।
গত ১৯ অক্টোবর-২০২৫ তারিখে শিবগঞ্জ উপজেলার পানাতাপাড়া ও ছোট হাটপাড়া গ্রামের দুই ছাত্রী, শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার ও রিয়া মনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন (২০ অক্টোবর) তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পাঁচ দিন কোনো খোঁজ না পাওয়ায় হতাশায় ভেঙে পড়েন পরিবারগুলো।
একপর্যায়ে ২৬ অক্টোবর তারা সহযোগিতা চান বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকপ্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমের কাছে।
ঘটনা শুনে মীর শাহে আলম দ্রুত জিডির কপি সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর উদ্যোগে শুরু হয় নিখোঁজ দুই ছাত্রীকে উদ্ধারের তৎপরতা।
অবশেষে ৩০ অক্টোবর সকালে ঢাকার একটি এলাকার দুটি পৃথক বাসা থেকে দুই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
উদ্ধারের পর তাদের জবানবন্দিতে জানা যায়—
অভাব-অনটনের সংসারে নিজের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় তারা এক প্রতারকের প্রলোভনে পড়েছিল। সেই ব্যক্তি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছে প্রতারক তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কমিশন বাবদ দুই ভিন্ন বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা জানান, প্রতারককে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত নাম বলা যাচ্ছে না।
পরিবারের সদস্যরা মীর শাহে আলমের তৎপরতা ও আন্তরিক ভূমিকার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, "মীর শাহে আলম দ্রুত প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা ও পরবর্তী মনিটরিং করার কারণেই আমাদের মেয়ে উদ্ধার হয়েছে।"
এ বিষয়ে মীর শাহে আলম মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, দ্রুত তৎপরতা চালিয়ে মেয়ে দুটিকে উদ্ধার করায় ডিবি পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।