
স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা তরুণী গোলাপি বেগম (২৮)-এর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক থেকে উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এটি দুর্ঘটনা নাকি কোনো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে শাহজাহানপুর ও শেরপুরের মাঝামাঝি ফারহানা ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গোলাপি কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রথম বিয়েতে তার দুটি সন্তান ছিল। এরপর একই উপজেলার টাউন কলোনী এলাকার বিবাহিত যুবক ইমনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গোলাপিকে প্রথমে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন ইমন। যদিও পাঁচ দিন পর গোলাপির পরিবার তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে, কিন্তু কিছুদিন পর ইমন পুনরায় তাকে নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় গোলাপির বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে ইমন ও গোলাপি ফারহানা ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তবে সম্প্রতি ইমন ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় গোলাপির সঙ্গে তার বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। গোলাপির চাচা জিয়াউল হক অভিযোগ করেছেন যে ইমন প্রায়শই গোলাপিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
হাইওয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রইচ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। নারীর মরদেহটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।