
মিজানুর রহমান গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা):
এক বিরল রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সম্প্রীতির দেখা গেল গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের নির্বাচনী পরিবেশকে ঘিরে। আসন্ন নির্বাচনে একে অপরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একই মঞ্চে উপস্থিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন দুই প্রধান দলের মনোনীত প্রার্থী।
উপস্থিত ছিলেন
আলহাজ্ব ডাঃ আব্দুর রহিম সরকার: জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক আমির।
মোহাম্মদ শামীম কাওসার লিংকন: বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক সংসদ সদস্য।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর উপস্থিতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শামীম কাওসার এবং জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আব্দুর রহিম সরকার হাসি মুখে করমর্দন করে উপজেলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল বার্তা দিচ্ছে। তাদের এই সৌজন্য বিনিময় স্থানীয় রাজনীতিতে প্রশংসিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথির আসনে ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শামীম কায়সার, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিম সরকার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নুরুন্নবী প্রধান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল কবির মনু, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর লেলিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহকারী মহাসচিব সাজাদুর রহমান সাজু, উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী ডা. জাহাঙ্গীর আলম ডাবলু সহ অন্যান্যরা।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূল, নিরাপত্তা জোরদার, উন্নয়ন ও শান্তি বজায় রাখতে সকলকে অবশ্যই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর এবং এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
সভায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক অভিযান ও অপরাধ দমনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই শিষ্টাচারপূর্ণ উপস্থিতি গাইবান্ধা-৪ আসনের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।