তারিক আল মুরশিদ গাজীপুর থেকে :
গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে টঙ্গী কলেজ গেট ও টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা “গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল করো”, “হাইকোর্টের ফ্যাসিস্ট বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের পদত্যাগ চাই”—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকে। তারা প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখে।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ অবরোধে সড়কের দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীরা তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন।
পরে নেতৃবৃন্দের নির্দেশে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সরে দাঁড়ালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ হাওলাদার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পাপ্পু সরকার, গাজীপুর মহানগর যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভাট, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
“গাজীপুরের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৬ আসন প্রয়োজন”—নেতৃবৃন্দের দাবি
বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন,
“গাজীপুরের জনসংখ্যা এখন দেশের অনেক জেলার চেয়েও বেশি। অথচ এখান থেকে একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা গাজীপুরবাসীর প্রতি অবিচার। আমরা এই অবিচার মেনে নেব না।”
কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার বলেন,
“গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
বক্তারা আরও বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের নির্দেশে গাজীপুরবাসীর ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তার পদত্যাগ দাবিও জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহাল না করা হয়, তবে সারা গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ, গণমিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌঁছে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সরে দাঁড়ালে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।