মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা বিন্নাচাপড় গ্রামে বাঁশঝাড়ের উপরে উঠে লুকিয়ে লুকিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে এক নারীর গোসলের দৃশ্য দেখতে থাকে ঐ গ্রামের মোকছেদ মিয়ার ছেলে মামুন (৩৮)। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, মামুন জামায়াত সমর্থক কর্মি। প্রতিদিন জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারনায় ও কর্মি সম্মেলনে অংশ নিয়ে থাকে। ফলে এ সংগঠনে থেকে তার এধরণের কার্মকান্ড দেখে এলাকার সকলে বিস্মিত হয়ে পরেছে।
ভুক্তভোগী নারী জিয়ারুলের স্ত্রী শাহীনুর বেগম (৩০) জানায়, শনিবার ৮ নভেম্বর দুপুরের একটু পর নিজ বাড়ীতে একাকি সে গোসল করতে ছিল। এসময় ঐ গোসলখানার পাশের বাঁশঝাড়ে উপরে উঠে লুকিয়ে লুকিয়ে মামুন তার গোসলের দৃশ্য দেখছিল। হঠাৎ সে টের পেয়ে লজ্জায় দৌড়ে ঘরের ভিতর চলে যায়। এরপর সন্ধ্যায় তার স্বামী জিয়ারুল বাড়ী এলে বিষয়টি তাকে খুলে বললে সে
লোকজন সহ তাকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে আটকিয়ে রেখে উত্তম মাধ্যম দেয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানায়, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কিছু জামায়াতের নেতা কর্মী মোহন মিয়া পিতা বাবু গ্রাম মানিকদিপা বিন্নাচাপড়, মোঃ শামিম গ্রাম খোদাবন্দবালা, মোঃ ফারুক হোসেন গ্রাম খোদাবন্দ বালা, মোঃ হাবিবুর পিতা আমজাদ হোসেন গ্রাম মানিক দিপা বিন্নাচাপড়,, মোঃ রেজোয়ান পিতা মৃত কাছেম আলী গ্রাম মানিক দিপা বিন্নাচাপড়, মোঃ আব্দুস ছালাম পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান গ্রাম মানিক দিপা বিন্নাচাপড়, তারা জোড়পুর্বক তাকে নিয়ে যায় এবং তারা সকলেই জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে তারা জানায়। সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলম জানান, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তাই তারা বিচার দাবী করেন। স্থানীয় হাফিজার রহমান বলেন, মাৃুমুন অপরাধ করলেও জামায়াত কর্মীরা বিচার না করে তার পক্ষ নেয়া নারীর প্রতি অবিচার।
একইভাবে পাশের বাড়ীর জিল্লাল সরকারের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, কিছুদিন আগে সে গোসল করার সময় টিনের বেড়া ফাঁক করে মামুন তার গোসলের দৃশ্য লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করতে ছিল। এতে সে লজ্জায় পরে যায়। বিষয়টি জানালেও কোন বিচার পাননি।
এবিষয়ে জানার জন্য গনমাধ্যম কর্মীরা অভিযুক্ত মামুনের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে মামুনকে ডেকে আনার জন্য তার স্ত্রীকে ও তার পক্ষের লোকজনকে বললেও তারা মামুনকে ডেকে আনত।